প্রসঙ্গ এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০
২৫ মার্চ, ২০২৩ ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

  

প্রসঙ্গ এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০

Online Reporter
২৫-০৭-২০২০ ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
প্রসঙ্গ এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০

স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা সবই স্থগিত করোনার কারণে। এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের স্থায়ী তারিখ ১ এপ্রিল। প্রতিবছরই যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। তামাম দুনিয়াতেই একই অবস্থা। পরিবেশ-পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক জীবনের গতি থেমে থাকবে না। তাই পরীক্ষাও বাতিল বা বন্ধ করার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আনুষঙ্গিক কার্যক্রমসহ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার আয়োজন করতেই হবে। সেটা এখনই হোক বা কিছুদিন পরে হোক। আমরা তিন দশক আগে উচ্চতর ক্লাসে ভর্তি হয়েছি পরের বছর এপ্রিল মাসে। তাতেও তো অনার্স-মাস্টার্স যথাসময়েই শেষ হয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর/অক্টোবর/নভেম্বর মাসে পরীক্ষা হলেও এপ্রিল মাসের মধ্যে বুয়েট, মেডিক্যাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত উচ্চতর প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব। তাতে শিক্ষাবর্ষে বড় ধরনের কোনো হেরফের সৃষ্টি হবে না। তাছাড়া শিক্ষাবর্ষ এপ্রিল-মার্চ করলে সেটা আরো যুগোপযোগী হবে। শনিবার (২৫ জুলাই) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, করোনাকালে আমাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করতে হয়। পরীক্ষার হলে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা বরাবরই বহাল। কারণ পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট দূরত্বেই বসানো হয়। স্বাস্থ্যবিধি সেখানে স্বাভাবিকভাবেই মান্য। এজন্য পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা নেই। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ সবাই একসঙ্গে হলে ঢুকবে না। তবে বের হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে। তবে প্রশাসন চেক দিতে পারলে পরীক্ষা আয়োজনে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে না। পোশাক কারখানায় তো বেশি সংখ্যক লোক কাজ করে। তারা প্রতিদিন যাচ্ছে, আসছে, চাকরি করছে। কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না। আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়—অতীতে কেন্দ্র ছিল জেলা-উপজেলায়। তখন পরীক্ষা চলাকালে জনতার ভিড় ছিল মাত্রাতিরিক্ত। বর্তমানকালে তেমন ভিড় দেখা যায় না। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলোতেও কেন্দ্র। কেন্দ্র ছাড়া কলেজ খুব কমই আছে। তাই পরীক্ষা দেওয়া-নেওয়ায় বড় কোনো বেগ পেতে হবে না শিক্ষা প্রশাসনকে।

পরীক্ষা ছাড়া অটো প্রোমোশন বা এসএসসি ফলাফল অনুসারে এইচএসসি ফলাফল প্রদানের কথাবার্তা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক মৌখিক আলোচনাতেই এসব সীমাবদ্ধ। তারপরও আমরা বলব, এটা কোনোক্রমেই ঠিক হবে না। অন্য একটি প্রশ্নও সামনে আসতে পারে। সেটা হলো এসএসসিতে একজন ছাত্র এ+ পেয়েছে। এইচএসসিতে সে এ+ পাবে—তার গ্যারান্টি কোথায়? আবার এসএসসিতে সি পেয়ে এইচএসতি এ+ পাবে না সেটাও বলা যায় না। আমার পরিচিত দুজন পরীক্ষার্থী আছে যারা অসুস্থতার কারণে এসএসসিতে বি পেয়েছে। দুজনই তুখোড় মেধাবী ছাত্র। সুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিতে পারলে তারা নিশ্চয়ই এ+ পেত। এইচএসসিতে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি খুবই ভালো। এসএসসির ফল অনুযায়ী এইচএসসির রেজাল্ট দিলে তাদের বি অথবা এ- দেওয়া হতে পারে। সেখানে তো মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হলো না। এ রেজাল্ট দিয়ে সে বুয়েট বা মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারবে না।

পরীক্ষা সম্পন্নের ব্যাপারে বিকল্প বিষয়ও বিবেচনা করা যেতে পারে। উচ্চমাধ্যমিকে সাবজেক্ট তো অনেক। সব বষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবেও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। বিষয় কমিয়ে প্রধান প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এসব বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে অন্য বিষয়ে গড় নম্বর দেওয়া যেতে পারে। অথবা দ্বিতীয় পত্র বাদ দিয়ে শুধু প্রথম পত্রের পরীক্ষাও নেওয়া যেতে পারে। আইসিটি ছাড়া সব বিষয়েই দুটি পত্র। প্রথম পত্রের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পত্রের নম্বর দেওয়া সঙ্গতিপূর্ণ।

পরিশেষে, আমাদের আবেদন—পরীক্ষাটা শীঘ্রই আয়োজনের ব্যবস্থা করা হোক।

  লেখক : মাহমুদ ইউসুফ, বরগুনা। 


Online Reporter ২৫-০৭-২০২০ ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন প্রকাশিত হয়েছে এবং 83320 বার দেখা হয়েছে।

পাঠকের ফেসবুক মন্তব্যঃ

Loading...
  • সর্বাধিক পঠিত
  • সর্বশেষ প্রকাশিত

  

  ঠিকানা :   শামস লিভিং, শহীদবাগ, ঢাকা
(রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ২নং গেইটের বিপরীতে)
মোবাইল :   ০১৬১৬-১০৪৪৯৮
  ইমেল :   info@shikkharalo24.com